Chairman's Message
'ডিজিটাল বাংলাদেশ' এখন অলীক স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। আজকের বিশ্ব তথ্য-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের যুগ। প্রতিদিন নতুন নতুন তত্ত্ব, তথ্য ও সত্য উদ্ঘাটিত হচ্ছে, মানুষের জীবন এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। রাজনীতি, অর্থনীতি, জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানা কারণে দ্রুত বদলে যাচ্ছে বিশ্বপ্রেক্ষাপট। সেই সঙ্গে 'সোনার বাংলা'য়ও লেগেছে প্রযুক্তি নামের যাদুর কাঠির ছোঁয়া। যার নাম "ডিজিটাল বাংলাদেশ"।
এ স্বাপ্নিক বাস্তবতা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে। দলের সভাপতি 'গণতন্ত্রের মানসকন্যা' এবং 'দেশরত্ন' বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে 'দিনবদলের পালা'য় ঘোষণা করেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণতি হবে"। একটি ক্ষুধা দরিদ্রমুক্ত, উন্নত দেশ, একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি সবমিলিয়ে একটি মেধাবী সমাজ ও দেশগঠন---এই স্বপ্নটাই দেখিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও অসাম্প্রদায়িক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মঞ্চ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা উচ্চারিত হওয়ার পর থেকে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বিষয়টি উপলদ্ধির জন্য কৌতুহলী হয়ে উঠেছে। তরুণ প্রজন্ম---যাদের চোখে আগামী দিনের নানা রঙের স্বপ্ন রয়েছে--- দারুণভাবে আলোড়িত হয়েছে। তাদের স্বপ্নের পালে লেগেছে নতুন করে হাওয়া। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্রা ও ক্ষুধামুক্ত বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্র, এবং যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র, যার মুখ্য চালিকাশক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি।
এরই অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে শিক্ষাঙ্গনগুলিকে পুরোমাত্রায় ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া। আগে ভর্তির নামে চলত দুর্নীতি। এখন অনলাইনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ায় দুর্নীতি নাই বললেই চলে।
আমি কলেজের অধ্যাপকমণ্ডলী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকমণ্ডলী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং এলাকাবাসীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কলেজটির জন্য আমার সহযোগিতার হাত সবসময়ই আছে ও থাকবে।